বিভিন্ন মাধ্যমে লোভনীয় ও অসত্য বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন পরিবেশন ঠেকাতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব, ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তামজিদ হাসান পাপুল ও রবিউল আলম।
এর আগে ৬ আগস্ট এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। তারপরও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর লোভনীয় বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
রিট আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি অতি চটকদার ও লোভনীয় বিজ্ঞাপনের কারণে ক্রেতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।