ইভানা লায়লা চৌধুরীর (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া মামলার এজাহার গ্রহণ করে এ দিন ধার্য করেন।
ইভানা রাজধানীর পরীবাগে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কলাসটিকার ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ছিলেন।
এর আগে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন, যার নম্বর-৪১।
এ মামলায় দুজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- ইভানার স্বামী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মান ও ইমপালস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মুজিবুল হক মোল্লা।
১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থানার নবাব হাবিবুল্লাহ রোডে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পেছনে) দুই ভবনের মাঝখান থেকে ইভানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, ইভানার শ্বশুর ইসমাইল হোসেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব। নিহতের স্বামী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ইভানার সঙ্গে ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুটি ছেলে রয়েছে।
ইভানার পরিচিত ও স্বজনদের দাবি, তার স্বামী আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসান ওরফে রুম্মানের আচরণ সন্দেহজনক। বিয়ের পর থেকেই ইভানার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে প্ররোচনা দিয়ে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে, যা হত্যার শামিল। ঘটনার দিনও ঝগড়া হয়েছে তাদের। তার আগের দিনও ঝগড়ার সূত্র ধরে নিজের হাত নিজেই কেটেছিলেন ইভানা।