অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
এ তদন্তকালীন সময়ে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সেগুলো বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি ঋণদানকারী স্থানীয় সুদকারবারীদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদেশে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করে রেখেছিলেন আদালত।
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদান নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রুলে লাইসেন্স এবং অনুমোদন ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণদানকারী বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকিতে বিবাদিদের নীরবতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আবেদনে অর্থসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১৩৬ ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।