স্বামী-সন্তান নিয়ে জাপানে গিয়ে নতুনভাবে সংসার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নাকানো এরিকো। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শরীফ ইমরানে পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
ফলে বিষয়টির সুন্দর সমাধানের জন্য শরীফ ইমরান ও নাকানো এরিকো দম্পতিকে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) একসঙ্গে বসে আলোচনা করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ দম্পতি ও তাদের দুই মেয়েকে নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে মুলতবি করে এ আদেশ দেন আদালত।
এরিকো স্বামী-সন্তান নিয়ে টোকিওতে গিয়ে নতুন করে সংসার করতে চাওয়ায় আবেদন শুনানি বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আর বাবার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে এরিকোর আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নির্দেশনায় ইমরান শরীফের আইনজীবীদের সঙ্গে বসেছিলাম। দুই শিশুর মায়ের পক্ষ থেকে আমরা তাদের প্রস্তাব জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। এরিকো চান সব কিছু ভুলে স্বামী-সন্তান নিয়ে জাপানে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে গুলশানের ভাড়া ফ্ল্যাটে দুই শিশুর সঙ্গে দিনে বাবা ও রাতে মা থাকছিলেন।
ওইদিন আদালত শিশুদের জন্য মঙ্গল হয় এবং দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য উভয় পক্ষের আইনজীবীকে একটি সুন্দর সমাধান খুঁজতে বলেছিলেন। একইসঙ্গে ২৮ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত।