র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চার ছাত্রকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার এবং ৩১ ছাত্র আবাসিক হলে থাকতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২০১৯ সালে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের বিভিন্ন টার্মে বহিষ্কার এবং হল থেকে বহিষ্কার হওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওইসব শিক্ষার্থী রিটে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। বুধবার সেসব রুলের নিষ্পত্তি করে রায় দেন হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক, আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
চার শিক্ষার্থী হলেন- মির্জা মোহাম্মদ গালিব, সব্য সাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিরী ও প্লাবন চৌধুরী।
আইনজীবীরা জানান, র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট এসব শিক্ষার্থীকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ও আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়। পরে এর বৈধতা নিয়ে তারা পৃথক রিট করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আপিল খারিজ করে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।