চট্টগ্রামে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কামাল উদ্দিনকে সাময়িক বহিস্কার করেছে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করে ও নেতাদের নামে মানহানিকর ফেসবুক পোস্ট দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসাথে স্থায়ী বহিষ্কার ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ স্থগিত করতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে, সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেন আইনজীবী কামাল উদ্দিন। সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন কবিরের মাধ্যমে তার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার চেক নেন বলে অভিযোগ করেন ওই আইনজীবী।
মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,
‘আসন্ন ১৭ নং সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাইয়ে দিবে বলে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন কবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা জনাব আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির নাম দিয়ে আমার কাছ থেকে পনের লাখ টাকার চেক নিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাকে মনোনয়ন দেয়া তো দূরে থাক, কেন্দ্রে আমার নামটি পর্যন্ত পাঠায়নি। এখন আমি আমার চেক ও টাকা ফেরত চাই। অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে আমি তৃণমূলের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল জননেত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হব এবং ফৌজদারি মামলা করতে বাধ্য হব।’
এ প্রসঙ্গে কামাল উদ্দিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কয়েক দফা চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কোন সাড়া মেলেনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেন কবির বলেন, ‘উনার সঙ্গে গত কয়েক বছরে আমার দেখাও হয় নাই। দেখা হলেও কথা হয় নাই। ফেসবুকে পোস্টের কথা শুনেছি। যে চেকের ছবি তিনি দিয়েছেন সেটাও একটা এনালগ চেক। এভাবে কি টাকা লেনদেন হয়? আর মোছলেম উদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন এমন কথাও কখনো শুনিনি।’