বিচারপতি আয়েশা মালিককে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছে জুডিসিয়াল কমিশন অব পাকিস্তান। দেশটির বিচারকদের নিয়োগ-পদোন্নতি দেখভালে নিয়োজিত সংস্থাটি গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ৫৫ বছর বয়সী এ নারীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেয়। খবর রয়টার্সের
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর আয়েশা মালিক প্রথম নারী বিচারক হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পাচ্ছেন।
সে দেশের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের এমপি এবং আইন সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি কমিটির সম্পাদক মালিকা বোখারি এক টুইটে বলেন, “পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম নারী বিচারক হিসেবে একজন মেধাবী ও খ্যাতিমান বিচারক নিয়োগ পাচ্ছেন, যা আমাদের দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় মুহূর্ত।”
অবশ্য ঐতিহাসিক এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েও মতভেদ রয়েছে পাকিস্তানে। রয়টার্স লিখেছে, নয়-সদস্যের ওই কমিশনই গত বছর বিচারক হিসেবে আয়েশার নিয়োগ ঠেকিয়ে দিয়েছিল, এবং বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতেও চারজন আয়েশার নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দেন।
অনেক আইনজীবী এবং বিচারকও এই নিয়োগের বিরোধিতা করেছেন। তাদের দাবি, জ্যেষ্ঠতার বিধি লঙ্ঘন করে তাকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নিম্ন আদালতের জ্যেষ্ঠ তিন বিচারকের তালিকায় আয়েশা মালিক ছিলেন না, যেখান থেকে তিনি পদোন্নতি পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হয়েছেন।
ইসলামাবাদের আইনজীবী এবং অধিকার কর্মী ইমান মাজারি-হাজির রয়টার্সকে বলেন, “বিচারক হিসেবে আয়েশা মালিকের যোগ্যতা নিয়ে কখনোই কোন প্রশ্ন ছিল না। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে পাকিস্তানের জুডিশিয়াল কমিশন, তাদের এই হঠকারি ও অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য।”
এই নিয়োগে বিচারকের লৈঙ্গিক পরিচয়ের অপব্যবহার করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বেশ কিছু আইনজীবী এই নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মঘটে যাওয়ার এবং আদালতের কার্যক্রম বয়কটের হুমকিও দিয়েছেন।