গভীর রাতে চুরি হয়েছে খোদ বিচারকের বাড়িতে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চাপ্তা গ্রামে এক বিচারকের বাড়িতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
ওই বিচারকের নাম মো. আল-মামুন। তিনি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
গত ৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতের চুরির ঘটনায় পরদিন (৫ জানুয়ারি) কাশিয়ানী থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন চোর ধরতে পারেনি পুলিশ।
মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, বিচারক আল মামুন পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তার ছোট ভাই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। ছোট ভাইয়ের শ্বশুর অসুস্থ থাকায় ঘরবাড়ি তালা দিয়ে সবাই সেখানে চলে যান।
এ সুযোগে গত ৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে একদল চোর বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজার কড়া কেটে ঘরের মধ্যে ঢুকে। এ সময় স্টিলের আলমারিতে রক্ষিত স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও ঘরের মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা ঘরের পাশে ভাঙ্গা লাকেজ ও ট্রাংক পরে থাকতে দেখে তাদের খবর দেন। খবর পেয়ে তারা বাড়ি এসে দেখেন ঘরের দরজার কড়া কেটে চুরি হয়েছে।
এ ঘটনায় পরের দিন বিচারক আল মামুনের ভাইয়ের স্ত্রী রোজী মাহমুদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা করেন।
ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
কাশিয়ানী থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।