করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধিজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় আবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ফিরে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, চারিদিকে করোনা সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবার ভার্চুয়ালি আদালত পরিচালনায় যেতে হবে।
হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকজন এবং অধস্তন আদালতেও কিছু বিচারক আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক স্টাফও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা হয়তো আবার ভার্চুয়াল কোর্টে ফিরে যাবো। ভার্চুয়াল কোর্টে যে মামলা নিষ্পত্তি কম হয়, তা নয়। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি ভাবছি।’
এক পর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত।
এর মধ্যে করোনা মহামারির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে ১০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
এদিকে ইতোমধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার (১৬ জানুয়ারি) থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। সপ্তাহে চার দিন শুধু তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গত বুধবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় ভার্চুয়াল এবং ক্ষেত্র বিশেষে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলছিল। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এরপর গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু হয়।