নাটোরে নদী থেকে বালু উত্তোলন, সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আদালত

সাজার বদলে আসামিকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে বিচারকের রায়

অপরাধ প্রমাণের পরেও সাজার বদলে নিজেকে শোধরানোর সুযোগ পেলেন দুই মাদক সেবী। তবে এজন্য তাদেরকে মানতে হবে নয়টি শর্ত।

মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ্ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) এই রায় প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে আসামীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাকদ দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯ (ক) ধারায় এজাহারকারী এস, আই মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মেহেরপুর সদর থানায় তাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। মেহেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই মামলাটি তদন্ত করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা এস, আই মোঃ রাকিবুল ইসলামের উপর তদন্তভার অর্পন করলে তিনি উপরিউক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাকদ দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারণির ১৯ (ক) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ওই মামলায় সোমবার আসামীদ্বয় নিয়োজিত কৌশুলীর মাধ্যমে একটি দরখাস্ত দ্বারা দোষ স্বীকারপূর্বক প্রবেশনারের আদেশ দানে মামলার দায় হতে অব্যহতির আবেদন করেন।

আসামীদ্বয় স্বেচ্ছায় হলফান্তে দোষ স্বীকার করায় আদালত তাদেরকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়া আর কোন মামলা না থাকায়, আসামীগণ অভ্যাসগত অপরাধী না হওয়ায় এবং তাদের বয়স বিবেচনায় আদালত সাজা ভোগের পরিবর্তে প্রবেশনের আদেশ প্রদান করেন।

আদালত তার পর্যবেক্ষনে উল্লেখ করেন যে, আসামিদের শাস্তি ভোগের জন্য কারাগারে পাঠালে দাগী অপরাধীদের সহচর্যে পুরোদস্তর অপরাধী হয়ে সমাজে প্রত্যাবর্তনের আশংকা আছে। তাছাড়া দন্ডের উদ্দেশ্যে শুধু শাস্তি নয় বরং সংশোধন হওয়ায় আসামিদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রে একজন সুনাগরিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ প্রদান করা যথাযথ।

এমতাবস্থায় তাদের সমাজে সৎ, পরিশ্রমী এবং আইন মান্যকারী নাগরিক হিসাবে বেড়ে উঠার সুযোগ প্রদান করা সমীচিন হবে বলে আদালত উল্লেখ করেন।

মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, স্ত্রী সন্তানের প্রতি মনযোগী হওয়া, সকল প্রকার অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ করা, সৎ জীবনযাপন করা, ধুমপান ও মাদক সেবন না করা, কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) নিয়ন্ত্রনের লক্ষে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে চলা এবং এ সম্পর্কে নিজ এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টি করা, নিজ এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামে মাদক বিরোধী প্রচারণা চালানো এমন নয়টি শর্তে তাদেরকে ১ বছরের জন্য প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে প্রবেশন মঞ্জুর করেন।