করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে কোর্ট প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগে কার্যক্রম শুরু হয়। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়েছে।
এর আগে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে পৃথক স্মারক জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে আপিল বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু করার সময় প্রধান বিচারপতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারো ভার্চুয়াল কোর্টে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, চারিদিকে করোনা সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবার ভার্চুয়ালি আদালত পরিচালনায় যেতে হবে।
হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকজন এবং অধস্তন আদালতেও কিছু বিচারক আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক স্টাফও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা হয়তো আবার ভার্চুয়াল কোর্টে ফিরে যাবো। ভার্চুয়াল কোর্টে যে মামলা নিষ্পত্তি কম হয়, তা নয়। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি ভাবছি।’
এক পর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত।
ইতোমধ্যে গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। সপ্তাহে চার দিন শুধু তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গত বুধবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় ভার্চুয়াল এবং ক্ষেত্র বিশেষে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলছিল। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এরপর গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
এর মধ্যে করোনা মহামারির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে ১০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।