কোন পণ্য কিংবা বিজ্ঞাপনের মডেল বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে সেলিব্রেটিদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ক্ষেত্রে সেলিব্রেটিদের সতর্কতার সাথে কোম্পানি নির্বাচন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের আগাম জামিন আবেদন শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই পরামর্শ দেন।
একইসঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাহসান খানকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামান দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে তাহসানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন দেওয়ান।
পরে আদেশের বিষয়টি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এই মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন তাহসান খান। হাইকোর্টের একটি ফৌজদারি বেঞ্চে তিনি এ আবেদন করেন।
একই মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে, তাহসান বিদেশে থাকায় তার জামিন আবেদন করতে দেরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সাদ স্যাম রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও এতে সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ তিন লাখ ১৮ হাজার, যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইভ্যালিতে অভিনেতা তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’ হিসেবে কাজ করেছিলেন। আর প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।