অবকাশে হাইকোর্টের বিচারকাজ পরিচালনায় ৬ বেঞ্চ গঠন
সুপ্রিম কোর্ট

ভার্চুয়াল কোর্টের জন্য বিচারপতি-আইনজীবীদের ‘ড্রেস কোড’ নির্ধারণ

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানিকালে বিচারপতি ও আইনজীবীদের ‘ড্রেস কোড’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ ও জাজেস কোট পরিধান করবেন।

আইনজীবীরা ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ ও কালো কোট/শেরওয়ানী পরিধান করবেন।

উপরোক্ত উভয় ক্ষেত্রে গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে প্রচলিত নিয়মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না।

প্রধান বিচারপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা

এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল আদালতে মামলা পরিচালনাকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) আদালত চলাকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে মৌখিকভাবে এ আবেদন জানান তিনি। বার সম্পাদকের এ আবেদনে সমর্থন দেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনও।

প্রধান বিচারপতির নির্দেশে আজ সুপ্রিম কোর্ট প্রসাশনের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানানো হয়। এ প্রেক্ষিতে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ব্যারিস্টার কাজল।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতে প্রথম দিকে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হলে বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। পরে অবশ্য গত বছর ৩১ অক্টোবর থেকে শারীরিক উপস্থিতি/ভার্চুয়াল যেভাবেই আদালত বসুক না কেন, পোশাক সংক্রান্ত এ রীতি (কালো কোট ও গাউন পরিধান) অনুসরণ করতে বলা হয়।