মো. আব্দুল বাতেন: কোর্ট এবং ম্যাজিসেট্রট এর সাথে পুলিশ অফিসারের আচরণ কেমন হবে তা পুলিশ রেগুলেশন অফ বেঙ্গল, ১৯৪৩ এ স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে।
রেগুলেশন এর-৩০ ধারায় বলা আছে যে, পুলিশ অফিসাররা অবশ্যই কোর্ট এবং ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে সম্মানের সাথে আচরণ করবেন এবং জনসম্মুখে যেন তা প্রকাশ পায়। এছাড়া তাঁরা কোন ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল কোন নথি যা প্রকাশ হতে পারে সেখানেও লিখতে পারবেন না।
যদি কোন পুলিশ অফিসারের মনে হয় যে ম্যাজিস্ট্রেট অন্যায় করছেন কিংবা তাঁর সাথে বাজে আচরণ করছেন তবে তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ফরমাল এপ্লিকেশন করে জানাবেন।
সেক্ষেত্রেও পূর্ণ সম্মান বজায় রেখে অভিযোগ জানাতে হবে।
রেগুলেশন এর ৩০(এ) ধারার বিধান অনুযায়ী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেই অভিযোগকে শুধুমাত্র লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।
এ নিয়মের ব্যতিক্রম করলে পুলিশ এক্ট ১৮৬১ অনুযায়ী একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে সর্বোচ্চ তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিতে পারবে।
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর ৮১ নং ধারা অনুযায়ী কেউ নির্বাচন প্রভাবিত করার কাজে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করলে সর্বনিম্ন ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল হবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট ও আইন বই।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।