নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করছে সরকার। এবার আইনটি পাসের জন্য চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই সংসদে উঠছে।
আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) সংসদ সচিবালয় থেকে প্রকাশিত আগামীকাল রবিবারের দিনের কর্সসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ রোববার সংসদে উত্থাপন করবেন। একইসঙ্গে সেটি পরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করবেন।
সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সংসদীয় কমিটির রিপোর্টের জন্য খুব বেশি সময় দেওয়া হবে না। দ্রুত বিলটি পাস করা হবে। এটি পাস হওয়ার পরেই নতুন নির্বাচন কমিশন আইনের আলোকে নিয়োগ করা হবে।
এর আগে, গত সোমবার প্রস্তাবিত আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটির মাধ্যমে গঠন করা হবে ইসি
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে। ছয় সদস্যের এই অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে থাকবেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
মন্ত্রিসপরিষদ সচিব আরও জানান, অনুসন্ধান কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন।
তিনি জানান, সিইসি ও কমিশনার পদে নিয়োগে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। ওই ব্যক্তিদের বয়স কমপক্ষে ৫০ বছর হতে হবে। এ ছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি বা বিচারবিভাগীয় পদে ওই ব্যক্তিদের কমপক্ষে ২০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।