জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রায় দুই দশক আগে এক নারীকে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তরণী বৈদ্য (৫০), অশোক বৈদ্য (৪৮), নরেন বৈরাগী (৪৭), কালু বিশ্বাস (৪৫) এবং বিজয় বেপারী (৪৫)। এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি গৌরাঙ্গ বৈদ্য জামিনে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন কয়েক বছর আগে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকার গুরুপদ বৈদ্যর স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্যর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তরণী বৈদ্য গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর রাধা তার দুই ছেলেকে নিয়ে আমগ্রাম বাজারে দুর্গাপূজার বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তরণীসহ কয়েকজন রাধাকে অপহরণ করে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় রাধার ছেলে বিষ্ণুপদ বৈদ্য বাদী হয়ে রাজৈর থানায় ১৫ অক্টোবর একটি অপহরণ মামলা করেন। ঘটনার ১১ দিন পরে রাজৈর উপজেলার সিরাজকাঠী গ্রামের পাখুল্লা বিলে রাধার মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজৈর থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোখলেসুর রহমান ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তারা হলেন- তরণী বৈদ্য, অশোক বৈদ্য, নরেন বৈরাগী, কালু বিশ্বাস, বিজয় বেপারী ও গৌরাঙ্গ বৈদ্য।
দীর্ঘ শুনানি শেষে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আজ সোমবার এ মামলার রায় দিলেন আদালত।