কক্সবাজারের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দুকে সাদা পোশাকে এসে পুলিশ কর্তৃক তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে পুলিশ কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ আটক কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সরকারি আইন কর্মকর্তার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, ডিএমপি কমিশনার, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, রাজধানীর হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত), কক্সবাজারের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাদ কবিরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) -এর নিকট তদন্ত ও দোষী পুলিশদের বিচার চেয়ে অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দুর দাখিলীয় আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদেশের বিষয়টি রিটকারী পক্ষের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সরকারি আইন কর্মকর্তা রাষ্ট্রের অংশ উল্লেখ করে আদালত এ ঘটনা ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের এপিপি এডভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দুকে সাদা পোশাকে কক্সবাজার মডেল থানার ওসি তদন্ত খায়রুজ্জামান (বর্তমানে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি), ওসি শাহজাহান (সিলেট ডিআইজি অফিসে কর্মরত) ও হাতিরঝিল থানার ওসি তদন্ত মহিউদ্দীন ফারুক কক্সবাজার আদালত চেম্বার থেকে তুলে নিয়ে যায়। আটক করে তিন দিন নির্যাতনের পর হাতিরঝিল থানা পুলিশ তাকে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে।
ভুক্তভোগী আইনজীবী পরবর্তীতে আইজিপির নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী পুলিশদের বিচার চেয়ে দাখিলীয় আবেদন করেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত উপরোক্ত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।