এশিয়া মহাদেশের সর্ব-বৃহৎ আইনজীবী সমিতি ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২২-২০২৩ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ১১ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু।
বাকি দশ নির্বাচন কমিশনার হলেন- অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুল সেলিম, মো. রফিকুল ইসলাম, আমিনুর রহমান খান, মো. আসাদুজ্জামান মনির, মো. নজরুল ইসলাম শামীম, মো. মতিউর রহমান ভূঁঞা, রায়হান মোরশেদ, মোহাম্মদ শাহাদাত হসেন ভূঁইয়া, মো. শহিদ গাজী ও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (কাইয়ুম)।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে এ নির্বাচন অরাজনৈতিক লেখা থাকলেও দেশের বৃহত্তম দু’টি রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এ বছরও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না।
বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ তথা সাদা প্যানেল এবং বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ তথা নীল প্যানেল ব্যানারেই মূলত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে স্বতন্ত্র কিংবা অন্য আইনজীবী সংগঠন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেখা গেলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সাধারণত সাদা ও নীল প্যানেলের মধ্যেই হয়ে থাকে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সদস্য প্রায় ২৮ হাজার। এরমধ্যে থেকে ভোটার তালিকায় স্থান পাওয়া আইনজীবীরাই কেবল ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
বিগত বছরগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, দু’দিন ব্যাপী এ নির্বাচন সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে দুপুদের দিকে ১ ঘণ্টা বিরতি থাকে। ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় ভোট গণনা। এরপর ফলাফল ঘোষণা করা হয়।