২০১৮ সাল দায়ের করা বগুনার এক অস্ত্র মামলায় বিচারকের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার এক অটো রিকশাচালককে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।
যাচাই বাছাই করে পরোয়ানাটি ভুয়া প্রতীয়মান হলে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম তাকে মুক্তির আদেশ দেন।
ভুক্তভোগীর নাম বুলবুল ইসলাম বুলু। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর গ্রামের হাসমত আলী হাসুর ছেলে।
জানা যায়, বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলামের আদালতের সিল ও তার স্বাক্ষর জাল করে একটি প্রতারক চক্র গত বছরের ৩০ নভেম্বর ওই যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্ট ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের কাছে পাঠায়। ওয়ারেন্টে লেখা ছিল- বরগুনার সেশন কেস নম্বর ৭৯১/২০২০, বরগুনা মডেল থানার মামলা নম্বর ১৭/২০১৮, জি/আর নম্বর ২৯৭/২০২০, স্মারক নম্বর ১৬৩৫/২০২১ ধারা ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ)।
ওই ভুয়া ওয়ারেন্টে ময়মনসিংহ জেলার গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই মো. মঞ্জুরুল হক ২১ জানুয়ারি বুলবুল ইসলাম বুলুকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
বুলবুলের চাচাতো ভাই উজ্জ্বল গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ভাই একজন রিকশাচালক। ভাই গ্রেফতার হওয়ার পর আমি বরগুনায় এসে ২৩ জানুয়ারি আদালতে জানতে পারি ওয়ারেন্টটি ভুয়া। পরে আমি একজন আইনজীবীর মাধ্যমে জজকোর্টে আবেদন করলে আমার ভাইকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন।
বুলবুলের আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, বুলবুলের নামে ৩০ নভেম্বর সেশন কেস নম্বর ৭৯১/২০২০ বরগুনা জজকোর্ট থেকে ওয়ারেন্টটি ময়মনসিংহ পাঠানো হয়েছে। সেই মামলার অস্তিত্ব বরগুনা জজকোর্টে নেই। ওয়ারেন্ট ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম বুলবুল ইসলাম বুলুকে ময়মনসিংহ জেল সুপারকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর ভুবন চন্দ্র হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, একটি প্রতারক চক্র সব সময় অপকর্ম করে থাকে। তদন্ত করে এই টাউট চক্র শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা নাহলে এমনিভাবে অপকর্ম চলতে থাকবে।