আদালত প্রাঙ্গণে আগত আইনগত সহায়তা প্রত্যাশী, বিচারপ্রার্থী বা কর্মজীবী নারীদের জন্য নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার পূর্ণ আশ্বাস প্রদান করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবার মান বৃদ্ধিতে বিজ্ঞ নারী আইনজীবীদের ভূমিকা ও টেকসই আগামির জন্য জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশ্বাস দেন। সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতন এবং নিগ্রহের শিকার হওয়া নারীদের প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম মমত্ববোধের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের ইতিহাস রয়েছে। তাদের কেবল তিনি নিজ কন্যা বলেই ঘোষণা দেননি, তাদের পুনর্বাসন এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি গ্রহণ করেছিলেন যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ। যুগ-যুগান্তকাল ব্যাপী নারীদের উপর নিপীড়ন ও বঞ্চনা নিরসন এবং নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান নারীর ন্যায্য অধিকার এবং নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতে অসহায় বিচারপ্রার্থীদের মানসম্পন্ন সরকারি আইনি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ প্যানেল আইনজীবীদের ভূমিকা অপরিসীম। যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ সাপেক্ষে অসহায় বিচারপ্রার্থীর পক্ষে আদালতে দাঁড়ানোর পাসাপাশি সংবেদনশীল আচনের মাধ্যমে উপযুক্ত সেবা প্রদান করা প্রত্যেক আইনজীবীর কেবল পেশাগতই নয়, নৈতিক দায়িত্ব বটে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, সারাদেশে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ১৪ হাজার ১১৫ জন ব্যক্তি সরকারি আইনগত সেবা গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৮ জনই নারী। সরকারি আইনগত সহায়তা কার্যক্রম ভিন্ন এই বিপুল সংখ্যক নারীদের হয়ত অর্থ কিংবা সামর্থ্যের অভাবে মুখবুজে সয়ে যেতে হত কদর্য নিপীড়ন।
সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপীল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এ. এম আমিন উদ্দিন।