ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর ডাক্তারি প্রতিবেদনের (মেডিকেল রিপোর্ট) তথ্যে অসঙ্গতি থাকায় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে চিকিৎসককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ এপ্রিল ডা. শারমিন হক নামের ওই চিকিৎসককে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
মামলার আসামি সুমনের জামিন আবেদন শুনানিতে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আলী আহসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর সদর থানায় মামলা করা হয়।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে চিকিৎসক প্রতিবেদন দেন, ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
পরে অবশ্য আদালতে ভুক্তভোগী কিশোরী ও আসামি দুজনই তাদের সম্মতিতে শারিরীক সম্পর্ক হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এরপর মামলায় আসামির অধস্তন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানিতে কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় আদালত মেডিকেল রিপোর্টের বিষয়ে জানতে ওই চিকিৎসককে তলব করেছেন।