প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অস্বাভাবিক কোটা প্রয়োগের বিধান নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার (১৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া সংশ্লিষ্টদের রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ প্রেরণ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধি বহির্ভূতভাবে অস্বাভাবিক কোটা প্রয়োগ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন চাকরি প্রত্যাশী মো. তারেক রহমান। হাইকোর্ট গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
রুলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ২০১৯ সালে বিশেষ বিধান করে ৬০ শতাংশ নারী কোটায়, পোষ্য কোটায় ২০ শতাংশ এবং পুরুষ কোটায় ২০ শতাংশ বিদ্যমান রেখে নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে যে বিধান রাখা হয়েছে সেটি ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় ২০১৯ সনের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার ৮ নং দফার বিশেষ বিধান বাতিল করে নতুন বিজ্ঞপ্তি কেন প্রচার করা হবে না, তা জানতে চান আদালত।
নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন, তিনি বলেন, ওই রুল চূড়ান্ত শুনানির জন্য আদালতে এখনো অপেক্ষমাণ। এজন্য রুল নিষ্পত্তি ব্যতীত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছি।
নোটিশে হাইকোর্টের রুলের রিটের সই মুহুরি নকলের ফটোকপি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট একলাছ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, রুল এখনো পেন্ডিং, তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত চেয়েছি।