প্রায় দুই বছর আগে আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার মামলা করেছিলেন আইনজীবী স্ত্রী। বর্তমানে আদালতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে স্ত্রীর বাড়িতে গুন্ডা পাঠিয়ে লক্ষাধিক টাকা ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্বামী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
অভিযোগকারী ভারতের কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কোয়েল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি ভাবতেও পারেননি এমন কিছুও করতে পারেন তার স্বামী। তদন্তকারীরাও এই ঘটনায় অনেকটা অবাক।
ঘটনার সূত্রপাত গেল ২২ জানুয়ারি রাতে। বেলেঘাটার সুরাহ ইস্ট রোডে কোয়েলের বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতি হয়। তাকে বন্দুক ঠেকিয়ে নগদ লাখ খানেক টাকা এবং সোনা ও রুপোর গয়না লুট করে নিয়ে যান কয়েকজন দুষ্কৃতী। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যাদের মধ্যে রয়েছেন বিহারের বাসিন্দাও।
গত শুক্রবার (১১ মার্চ) শুভাশিস দাশগুপ্ত নামে সল্টলেকের এক বাসিন্দাকে চেতলা সেন্ট্রাল রোড থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনিই এই ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা বলে পুলিশের ধারণা।
পুলিশ সূত্রে খবর, লক্ষাধিক টাকা দিয়ে ভিন রাজ্যের গুণ্ডা ভাড়া করে তিনি কোয়েলের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। মাসখানেক ধরে এর পরিকল্পনা করেন তিনি।
কোয়েলের দাবি, শুক্রবার ধৃত ওই ব্যক্তি আসলে তার স্বামী। যিনি নিজেও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বলে সূত্রের খবর। কোয়েল-শুভাশিসের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। বেশ কিছু দিন ধরে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। তাই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু প্রতিহিংসাবশত তিনি যে এমন কোনও কাজ করতে পারেন তা কল্পনাও করতেও পারেনি।
কোয়েল বলেন, বিয়ের আগে থেকেই আমাদের পরিচয়। ওকে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছি। পুরো ঘটনায় আমি স্তম্ভিত।
তিনি বলেন, অনেকের হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা লড়েছি। তাদের কেউও তো এমন ক্ষতি করার চেষ্টা করছে বলে জানা নেই। আমার লজ্জা লাগছে যে, আমার স্বামী এমন করলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেলেঘাটার ওই বাড়িতে কোটি টাকা মূল্যের জিনিস রয়েছে বলে দুষ্কৃতীদের ভাড়া করেন শুভাশিস, তবে ডাকাতি করতে গিয়ে এমন কিছু না পেলে শুভাশিসের সঙ্গে তাদের ঝামেলা শুরু হয়।