নাটোরে নদী থেকে বালু উত্তোলন, সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আদালত

সুতাং নদীকে দূষণ থেকে রক্ষায় আদালতের স্বপ্রণোদিত আদেশ

হবিগঞ্জের সুতাং নদীকে শিল্পবর্জ্যের দূষণ থেকে রক্ষা করতে সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্তকালে অপরাধ উদ্ঘাটন হলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন সোমবার (১৪ মার্চ) স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়েছে, আদালত অনুসন্ধানে জেনেছেন সুতাং নদীটির দূষণের বিষয়ে হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করেনি। এ অবস্থায় জনস্বার্থে ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সুতাং নদীর দূষণ ও দূষণের উৎস নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন।

এ ছাড়া নদীর আশপাশে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সেখানে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসাইন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক পদ মর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

পাশাপাশি জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে তদন্তকালে অপরাধ উদ্ঘাটন হলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও বিধিমালা ১৯৯৭ অনুযায়ী নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১২ মার্চ সুতাং নদীর দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি হবিগঞ্জের পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেটের দৃষ্টিগোচর হয়।

হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। বর্তমানে শিল্পবর্জ্যের কারণে নদীটি মারাত্মকভাবে দূষণের শিকার হচ্ছে।