সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান আসামি স্বাধীন মেম্বারসহ ৭২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার বাকি ২৩ আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
শাল্লা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুর রহিমের আদালতে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে আসামিরা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খায়রুল কবির রুমেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আসামিরা পুলিশের চার্জশিট দাখিলের আগ পর্যন্ত অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। মঙ্গলবার ১২৫ জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
এদিন পুলিশ চার্জশিট দাখিল করায় স্বাধীন মেম্বারসহ ৭২ জন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া বাকি ২৩ আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত বছরের ২০২১ সালের ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি হিন্দুবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্থানীয় স্বাধীন জলমহাল নিয়ে বিরোধের জেরে এ ষড়যন্ত্র করেন।
এ ঘটনায় ও সময় ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় থানায় দু’টি মামলা করা হয়। যার একটি করেন নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। অন্য মামলাটি করেন শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।