জগতে বঞ্চনা আর সামাজিক অবিচারে কত শত গরীবের অশ্রুজল ঝরে। তেমন বঞ্চিত মুখের গল্প শোনাতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
সংগঠনটির ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার যোগ দিয়েছিলেন ইফতার আয়োজনে। এসেই তিনি বসে যান খোলা আকাশের নীচে পথে বিছানো মাদুরে। ফুটপাতে বসে ইফতারের ফাঁকে ফাঁকে উচ্ছেদ হওয়া বস্তির দরিদ্র রিকশাওয়ালার কষ্টের কথা শুনেছেন। কথা শোনেন গ্রাম থেকে আসা কলিমুদ্দিনের, জব্দ হওয়া রিকশা চালক জলিলের।
অ্যাটর্নি জেনারেলকে পেয়ে কেউবা চোখের জলে গল্প করেছেন, আবার কারো বা অবাক দৃষ্টিতে জেগেছে বিস্ময় । মূলত বিদ্যানন্দ যাদের নিয়ে কাজ করে, তাদের কষ্ট লাঘবে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে মানুষকে পথে এনে গল্প শোনানর এজন্য এমন উদ্যোগ। যাতে করে একে অন্যের কষ্ট অনুভব করতে পারে।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার মানবিক ও মহতী উদ্যোগ নেটিজেনদের সাধুবাদ কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভেরিফাইড পেজে পোস্ট করা ছবির কমেন্টে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অনেকেই।
অনেকেই বিদ্যানন্দকে এমন কাজের জন্য জানিয়েছেন ভালোবাসা, সেই সাথে মানবতার ফেরিওয়ালা আখ্যা দিয়ে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকতার প্রতিও।
একজন লিখেছেন, ‘জ্বী, উনি এমনই; গত ১৬ বছর আমি ও আমরা উনার এমন সত্তাকেই চিনি। আজকে হয়ত অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়ার কারণে উনার এই কর্মকাণ্ড পাবলিকলি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বহু পূর্ব থেকেই নিরবে তিনি বঞ্চিত ও ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের পাশে আছেন এবং আমি যতটুকু জানি উনার এই চারিত্রিক বৈশিষ্টের কথা পাবলিকলি আসুক তা কখনোই তিনি চাননি। স্যার, এই পোস্টে আপনি বিব্রত হবেন না আশা করি, আপনি যাদের প্রেরণার উৎস, তারা আরো একটু বেশি প্রেরণা পাবে এতে। আল্লাহ্ আপনাকে দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য দান করুক।
আবার সর্বদাই সবকিছুতে মন্দের গন্ধ পাওয়াদের কটূক্তির সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ। তেমনি একজন লিখেছেন, ‘আমরা কেমন যেন হয়ে গেছি। ভালোকে ভাল, মন্দকে মন্দ বলতে ভুলে গেছি। সব কিছুর মাঝেই রাজনীতিকে নিয়ে আসি। এটর্নি জেনারেল এ, এম আমিন উদ্দিন একজন মানবিক গুণ সম্পন্ন অসাধারণ মানুষ। তিনি সব সময় আর্ত মানবতার পাশে দাঁড়ান, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন গোপনে। কেউ অসুস্থ খবর পেলে দেখতে যান। প্রয়োজনে নীরবে আর্থিক সহযোগিতা করেন। কারো মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না! তিনি পাশে দাঁড়িয়ে যান। মানবিক গুণ সম্পন্ন মানুষটি যদি কোন ভাবে বিদ্যানন্দের উপকারে আসে বা উপকার করতে পারে তাতে তো কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। উনি নিরবে দান করেন যা কাউকে জানতে দেননা। আমরা ভালোকে ভাল বলি, সবার ক্ষুদ্র ভাল কাজের প্রশংসা করি। ভাল থাকি সবাই।’