অধস্তন (বিচারিক) আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে বাধা নেই। এ বিষয়ে হাইকোর্টের একটি রায় বহাল রাখায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখায় এই পথ পরিষ্কার হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জোবাইদা রহমানের করা আপিল আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের বেঞ্চ।
আদালতে জোবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য নিম্ন আদালতের আর আইনগত কোনো বাধা নেই।
তবে সম্পূর্ণ রায় এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় যে ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালত এই আদেশ প্রদান করেছেন তা জানা যায়নি।
অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান, স্ত্রী জোবাইদা ও জোবাইদার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুদক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১শে মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
জোবাইদার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে এবং কেন তার এই মামলা বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে দুদককে রুল জারি করে।
রুলের ওপর শুনানি শেষে, হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল আবেদন খারিজ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন এবং জোবাইদা রহমানকে দুর্নীতির মামলায় ৮ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করে জোবাইদা রহমান হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল আবেদন করেন।
খুরশীদ আলম খান জানান, জোবাইদা রহমান আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল আবেদন করার পর বিচারিক আদালত মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
জোবাইদা রহমানের পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, রাষ্ট্র পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।