চেক ডিজঅনার মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে বিশেষ আদালত গঠন করে দুই মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
ঢাকার অধস্তন আদালতে আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) চেক ডিজঅনারের একটি মামলায় শুনানি করতে গিয়ে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি অবলোকনের পর তিনি এ দাবি তোলেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত এক লাইভ বার্তায় সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, ঢাকার জজ কোর্টে চেকের মামলার বিচার সংক্রান্ত একটি কোর্ট থেকে বের হয়ে আসলাম। এই কোর্টে অন্তত এক হাজার মামলা রয়েছে আজকের লিস্টে।
ফরিয়াদির দুর্দশার কথা তুলে ধরে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, চেকের মামলায় ঢাকার অধস্তন আদালতে একটি শুনানির পর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় অন্তত ৯ থেকে ১১ মাস পর। এভাবে মামলা নিষ্পত্তিতে এখানেই সময় লাগে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর। এরপর আসামি উচ্চ আদালতে আপীল করলে সেখানেই এমন সময় লেগে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ ১০ বছর আইনি লড়াই করেও নিশ্চিত না যে তিনি টাকা ফেরত পাচ্ছেন!
মাত্র তিন কথায় চেকের মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রথমত, চেকটা আসামির কিনা, দ্বিতীয়ত, চেকটা তিনি দিয়েছেন কিনা এবং তৃতীয়ত, চেকের স্বাক্ষর আসামির কিনা। এ সংক্রান্ত মামলায় ডিজঅনার হওয়া চেক, ব্যাংক কর্তৃক রিফিউজাল বা রিজেকশন লেটারসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল নথিপত্র সংযুক্ত থাকে। ফলে দু-তিন কথায় এসব মামলা নিষ্পত্তি করা যায়।
কোর্টের সংখ্যা কম থাকলে তা বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার মনে হয় একটা স্পেশাল কোর্ট করে দুই মাসে এসব মামলা শেষ করে দেওয়া দরকার। তাহলে মানুষ চেক দেওয়ার আগে সতর্ক হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, বিচারের এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে যারা চেকের মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে এমন প্রতারক মহল সুবিধাভোগী হচ্ছে।