রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যাসহ মোট তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও হকার মিলে মোট এক হাজার ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
পথচারী নাহিদ হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গতকাল বুধবার গভীর রাতে এসব মামলা করা হয়। তবে আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত এসব মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
নিউমার্কেট থানায় তিন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শরীফ ফারুকুজ্জামান। তিনি বলেন, পথচারী নাহিদ হত্যা মামলায় চারজন ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি আসামিরা অজ্ঞাতনামা। ভিডিও ফুটেজ ও তদন্তে এসব অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় আজ আহত যে দোকান কর্মচারী মারা গেছেন সে বিষয়ে আরেকটি মামলা হবে।
নিউমার্কেট থানা সূত্র জানায়, গত সোমবার মধ্যরাত থেকে নিউমার্কেট এলাকায় দোকান মালিক, কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। রাতে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অন্তত ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরদিন গত মঙ্গলবার দিনভর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পথচারী নাহিদ হাসান নিহত হন। গতকাল বুধবার ঢাকা কলেজের সামনে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়।
নিউমার্কেট থানার পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার রাতে নাহিদ হত্যায় তাঁর চাচা মো. সাঈদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নিউমার্কেট থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বাদী হয়ে নিউ মার্কেটের ২৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৯০০ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন নিউ মার্কেট থানার আরেক উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়ামিন কবির।