ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে নিউমার্কেটের দোকানমালিক ও কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ এই আদেশ দেন।
নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় বিএনপির নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এদিন সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মকবুল হোসেনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাহেল আকরাম সম্রাট, আবুল কালাম আজাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, মকবুল হোসেন নির্দোষ। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির শিকার। তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার বিরুদ্ধে এজাহারে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার জামিন প্রার্থনা করছি।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মকবুল হোসেনের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকা থেকে মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মকবুল হোসেন নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ও মঙ্গলবার নিউমার্কেটের দোকানমালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। এতে দুজনের প্রাণহানি এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও জখম করার অভিযোগে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মকবুল হোসেনকে।
নিউমার্কেট সূত্র বলছে, মার্কেটের ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুড নামের যে দুই দোকানের কর্মচারীদের বাগ্বিতণ্ডা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেই দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ নেওয়া। তবে তিনি নিজে কোনো দোকানই চালাতেন না।