আদালতের কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে জিম্বাবুয়েতে হাজার হাজার মামলা স্থবির হয়ে আছে৷ বাড়ছে কয়েদিদের সংখ্যা৷ পরিস্থিতি সামলাতে অনলাইনে আদালত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷
জাতিসংঘের সহযোগিতায় ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমক ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির আদালতের কার্যক্রম এমনিতেই বেশ ধীর গতির। সেই সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর তা আরো স্থবির হয়ে পড়ে।
জিম্বাবুয়ের বিচারমন্ত্রী জিয়াম্বি জিয়াম্বি বলেন, কয়েদির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরাও পুলিশকে অপরাধী না ধরতে বলতে পারি না। এখন বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছে এবং আইনের শাসন ভেঙ্গে পরতে পারে। আর তাই আমরা শেষ পর্যন্ত ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে পেরে আনন্দিত।
জানা গেছে, এই প্রক্রিয়ায় পুলিশ স্টেশন এবং কয়েদি আদালতের সাথে ইন্টারনেটে যুক্ত হন। জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের একটি আদালতে প্রথম ভার্চুয়াল কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন বিচারক একটি চুরির মামলার শুনানি করেছেন।
তবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পুরোদমে আগামী ১ মে থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে। এরকম ঘোষণা দিয়ে সরকার ইতোমধ্যে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে বলেও স্থানীয় গণমাধ্যম নিউজ জিম্বাবুয়ের বরাতে জানা গেছে।