ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর অংশের মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক ও মো. তামজীদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ওবায়েদ আহমেদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তামজীদ হাসান এ রিট করেন। আবেদনে গত ১৬ এপ্রিল জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘মহাসড়ক বন্ধক দেখিয়ে লুটপাট ১৫ কোটি টাকা’ শিরোনোমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিট বিষয়ে আইনজীবী তামজীদ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কের জায়গা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার ঘটনা একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে প্রচারিত হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সম্প্রতি গোলাম ফারুক একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তবে মহসড়কের জমি বন্ধকের ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেই।
তাই ওই ঘটনার তদন্ত চেয়ে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জিও জানানো হয়েছে বলে জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী।