ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে এক আসামি পালিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) আদালত অঙ্গন থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই আসামির নাম বাদশা মিয়া। তিনি মানিকগঞ্জের একটি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
ঢাকার আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এ টি এম গুলজার জানান, মানিকগঞ্জের মামলায় মৃত্যৃদণ্ডপ্রাপ্ত বাদশা মিয়া ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মনসুর আলী ওরফে মুন্না হত্যা মামলারও আসামি। মুন্না হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল আজ।
এ কারণে বাদশা মিয়া ও লাল মিয়া নামের আরেক আসামিকে আজ সকাল ১১টার সময় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু মামলার সাক্ষী না আসায় তাদের আবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক সৈয়দা মিনহাজ-উম-মুনিরা। এরপর কর্তব্যরত পুলিশ ৫ তলা থেকে ২আসামিকে নিয়ে নিচে নামেন। চতুর্থ তলায় কর্তব্যরত পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বাদশা মিয়া পালিয়ে যান।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মতিয়ার রহমান মিয়া বলেন, ‘২ আসামিকে আদালতে হাজির করা এবং হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিলেন এপিএসআই সেলিম মিয়া ও কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম। তাদের ফাঁকি দিয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাদশা মিয়া পালিয়ে যান। শুনেছি, পালিয়ে যাওয়া আসামি বাদশা মিয়ার হাতকড়া একটু ঢিলা ছিল। দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলা করারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাদশা মিয়াকে যখন আদালতে হাজির করা হয়, তখন তার গায়ে চাদর ছিল। ফলে তার হাতকড়া লাগানো ছিল কি না, তা দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, ‘ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে যেভাবে আদালতে নেওয়ার কথা, সেভাবে না নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছে।’