পিস্তল হাতে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে আলোচনায় আসা পাবনার সেই ছাত্রলীগ নেতাকে রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানা এলাকার একটি ভবন থেকে গতকাল রোববার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার (৯ মে) সকালে র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ওই যুবকের নাম আবু বক্কার সিদ্দিকী ওরফে রাতুল (৩০)। তাঁর বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছি গ্রামে। তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক এবং মানিকহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পিস্তল হাতে নেওয়া ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবু বক্কার সিদ্দিকী গা ঢাকা দেন। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, হাতে পিস্তল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রাতুল। একটিতে দেখা যায়, শুধু হাতের ওপর পিস্তল এবং অপরটিতে গুলিসহ আছেন রাতুল। ছবিগুলো সম্প্রতি ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার ছবিগুলো আলোচনায় আসে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
র্যাব জানায়, এ ঘটনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো র্যাবও ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং রাতুলকে ধরতে অভিযান চালায়। গতকাল রোববার র্যাব-৫, সিপিএসসির অভিযানে রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানা এলাকার ‘গ্র্যান্ড তোফা হল বিল্ডিং’ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া মহল্লার পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশে অবস্থিত পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে র্যাব বলেছে, বাহিনীটির কাছে আবু বক্কার সিদ্দিকী ওরফে রাতুল স্বীকার করেছে, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি নিজের কাছে পিস্তল রাখতেন। তিনি পাবনায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেন। ফেসবুকে ছবি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল সবাই যাতে জানে, তাঁর কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র আছে এবং তিনি নিজেকে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।