বিচারক সংকট নিরসন ও মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে বেশ কয়েকজন নতুন বিচারপতি নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, “আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে নতুন বিচারপতি নিয়োগ করা হতে পারে। প্রধান বিচারপতির সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন।” তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি মন্ত্রী।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি নতুন চারজন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারকের ঘাটতি কিছুটা পূরণ হয়েছে।
অন্যদিকে কিছু বিচারপতির অবসর ও মৃত্যু এবং চার বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত করার পর হাইকোর্টের সংকট শুরু হয়। এর ফলে বিচারাধীন মামলার জট তৈরি হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে।
২০১২ সালে হাইকোর্টে ১০১ জন বিচারক কর্মরত ছিলেন, যা বর্তমানে ৮৬ জনে নেমে এসেছে। অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সাতজন বিচারক এখন আপিল বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন; ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১।
হাইকোর্টে কর্মরত ৮৬ জন বিচারকের মধ্যে তিনজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগে তদন্ত চলমান থাকায় প্রায় ৩ বছর ধরে বিচারকাজে অংশ নিতে পারছেন না উচ্চ আদালতের আরো তিনজন বিচারক।
সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৩টি। সে বছর হাইকোর্টের বিচারক দায়িত্ব পালন করছিলেন ৯৭ জন বিচারপতি।
তবে হালনাগাদ বার্ষিক প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ না হওয়ায় গত বছরের তথ্য জানা যায়নি।
জানা গেছে, এবার উচ্চ আদালতে ২০ জনের মত বিচারক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে অনেক আইনজীবী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং অধস্তন আদালতের বিচারক হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য তোড়জোড় ও তদবির শুরু করছেন।
দ্রুত সময়ে মামলা নিষ্পত্তি ও বিচারাধীন মামলাজট হ্রাসে শিগগিরই উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ চান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন ফকির। সমিতির সভাপতি জানান, হাইকোর্টে নতুন বিচারপতি নিয়োগের জন্য তিনি প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।