সুপ্রিম কোর্টে মেডিয়েশন সেন্টারের জন্য কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়েশন সোসাইটি (বিমস)।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিমসের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জন অ্যাক্রিডিটেড মিডিয়েটর প্রধান বিচারপতির কাছে এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) অলাভজনক, অরাজনৈতিক, মেডিয়েশন বিষয়ক সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৮০ জন বিজ্ঞ বিচারক, ১৩০ জন বিজ্ঞ আইনজীবী, ৪৮ জন সাংবাদিক, ২৫ জন পুলিশ অফিসার, ১৭ জন চিকিৎসক এবং ৩১ জন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী মেডিয়েশন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন কর্তৃক ২০২১ সালের ২১ মার্চ এবং ৫ আগস্ট প্রচারিত দুটি সার্কুলার অনুসারে বিচার প্রশাসনে প্রতিদিন মেডিয়েশনের (মধ্যস্থতা) মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি হচ্ছে।
হাইকোর্ট বিভাগের বিভিন্ন বেঞ্চও মেডিয়েশনের (মধ্যস্থতা) মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিজ্ঞ আইনজীবী ও পক্ষগণকে উদ্বুদ্ধ করছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধার অভাবে মেডিয়েশন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে মেডিয়েশন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কক্ষ বরাদ্দ করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
আবেদনকারীরা হলেন- বিমসের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, অ্যাডভোকেট ড. এ এস এম খালেকুজ্জামান, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির শিকদার, অ্যাডভোকেট মুক্তি রানী কুন্ডু, অ্যাডভোকেট সৈয়দ নাফিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. মনজুর মোর্শেদ তৌহিদ, অ্যাডভোকেট আফসানা বেগম, অ্যাডভোকেট সাধন কুমার কুন্ডু, অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান, অ্যাডভোকেট ড. রাজীব কুমার গোস্বামী, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর ও সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর তানজিনা রহমান ও তন্ময় রহমান।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট