সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ সোমবার (৬ জুন) তাঁর যশোরের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল এবং এতিমখানায় খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লতিফুর রহমান ১৯৩৬ সালের পয়লা মার্চ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য এবং আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন তিনি।
পেশাজীবনের শুরুতে লতিফুর রহমান কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমান শহিদ সোহরাওয়ার্দি কলেজ) ও জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) প্রভাষক হিসেবে কাজ করেন।
এরপর ১৯৬০ সাল থেকে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। শুরুতেই তিনি বাংলাদেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল এম.এইচ. খন্দকারের নিকট শিক্ষানবিশ ছিলেন।
১৯৭৯ সালে লতিফুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৮১ সালে উচ্চ আদালতে তাঁর বিচারকের চাকুরি স্থায়ী হয়।
১৯৯১ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ২০০০ সালের পয়লা জানুয়ারি তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন অবসর গ্রহণ করেন।
অবসরে থাকা অবস্থায় ২০০১ সালে ১৫ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। তাঁর অধীনে ২০০১ সালের পয়লা ১ অষ্টম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব হস্তান্তরের পর বিচারপতি লতিফুর রহমান তাঁর উপদেষ্টা থাকাকালীন অভিজ্ঞতা নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিন গুলি ও আমার কথা নামের একটি বই লিখেন।
২০১৭ সালের আজকের দিনে (৬ জুন) রাজধানীর সমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিচারপতি লতিফুর রহমান ইন্তেকাল করেন।