প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার প্রস্তুত করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৫ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরে সংস্থার উপপরিচালক রেজাউল করিম এবং সহকারী পরিচালক মো: বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
দুদক কর্মকর্তা রেজাউল করিমের দায়ের করা মামলায় তিন আসামি হলেন- রসময় মন্ডল (৪০), মোহাম্মদ আলী (৫০) এবং শওকত হোসেন মোল্যা (৫৬)।
আসামিদের মধ্যে রসময় মন্ডল ঘটনার সময় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। অপর আসামি মোহাম্মদ আলী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক। আর আসামি শওকত হোসেন মোল্যা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া বাজারস্থ মেসার্স শওকত হোসেন মোল্যা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ, প্রতারণা, জাল জালিয়াতির আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি অফিসের আওতাধীন সরকারী সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের কাজ করেননি। বরং অফিসের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ প্রকৃতপক্ষে খরচ না করে ভুয়া বিল ভাউচার প্রস্তুতু করত: তা ব্যবহার করে সরকারের ৮৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৫ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করে।
অন্যদিকে দুদক কর্মকর্তা মো: বজলুর রহমানের দায়ের করা মামলায় দুই আসামি হলেন- মো: ওয়াহিদুজ্জামান (৪৯) এবং মো: মজিবর রহমান ভুঁইয়া (৫৩)।
আসামিদের মধ্যে মো: ওয়াহিদুজ্জামান ঘটনার সময় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অতিরিক্ত উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। অপর আসামি মজিবর রহমান ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসের মোকাদ্দম পদে কর্মরত।
এক্ষেত্রেও আসামিরা একই উপায়ে অর্থ আত্মসাত করেছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। তবে এখানে আত্মসাতকৃত টাকার পরিমাণ জানা যায়নি।
উভয় ঘটনায় দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে।