জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না: সম্প্রতি জুরাইনে আইনজীবীদের সাথে ট্রাফিক পুলিশের দ্বন্দ্ব একটি দুঃখজনক ঘটনা – বেআইনি কিছু করলে যে কারো বিচার হবে, তাতে আমার কোন মন্তব্য নেই। কিন্তু আমার ঘোরতর আপত্তি পুলিশের কাছে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশের বিরুদ্ধে। মারামারি হাতাহাতির ঘটনায় রিমান্ডে নেয়ার যুক্তি আমি খুঁজে পাই না। জিজ্ঞাসাবাদের যদি প্রয়োজনই হয়, তাহলে জেলগেটে নয় কেন?
আমার একটি প্রশ্ন – কেউ কি চাইছেন, বিচার বিভাগের সাথে আইনজীবীদের দূরত্ব বৃদ্ধি হোক। কারণ ইতিপুর্বে আমরা দেখেছি একজন নারী আইনজীবী জনৈক সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ আনলে, ঐ বিচারকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেনস্তার শিকার নারী আইনজীবীকে এবং তাঁর আত্মীয়দের গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করেছিলেন।
আইনজীবীরা কিন্তু আদালতের কর্মকর্তা। কথায় কথায় রিমান্ড প্রদান (যা কোন নাগরিককে করা উচিত নয়) করা বা কারাগারে প্রেরণ করা উচিত নয়। কারণ এহেন প্রথা চালু হলে আদেশ প্রদানকারী কর্মকর্তাও যে ঐ প্রথার ভিকটিম হবেন না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে? তারপরও বলব সকল আইনজীবীরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী – আইন সবার জন্য সমান প্রযোজ্য – যেমন আপনার জন্য, তেমনই আমার জন্য। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
বি: দ্র: আমি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ থাকায় সশরীরে উপস্থিত হতে পারি নাই বলে ভীষণ মানসিক কষ্টে আছি। তারপরও সাধারণ আইনজীবীদের কাছে আমার আবেদন আইনের মাধ্যমে আপনার ও জনগণের অধিকার আদায় করুন। সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা করুন।
লেখক: সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।