সরকার সকল নাগরিকের জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করলেও দেশের সুবিধাবঞ্চিত বৃহৎ জনগোষ্ঠী এখনো জন্ম নিবন্ধনের বাইরে। নানা জটিলতার কারণে আটকে থাকা দেশের দুই লাখ পথশিশুকে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট সংগঠনের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল গত সপ্তাহে এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
রিটে নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন্ম নিবন্ধন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
আজ রোববার (১২ জুন) রিট আবেদনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দুই লাখের বেশি পথশিশু রয়েছে। এসব শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকার কারণে পথশিশুরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকার কারণে শিশুরা অনেক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এজন্য রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাস্তবতা হলো, শিশুর পিতা-মাতার পরিচয় ও ঠিকানা না থাকা, শিশুর ধর্ম নির্ধারণ করতে না পারা, নিবন্ধন নিয়ে শিশুর অজ্ঞতা ও ফি দিতে না পারায় তাদের নিবন্ধন করা হয়ে ওঠে না। আবার নিবন্ধন ফরমে নাম, পিতা-মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানার জন্য পৃথক ক্রম থাকলেও পথশিশুদের তথ্যসংবলিত কোনো ক্রম রাখা হয়নি। যারা পথশিশু তাদের অনেকের পরিচয় ও বাসস্থান নেই।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪-এর ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০১৮ সালের জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পিতৃপরিচয়হীন, এতিম শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা যাবে। তথ্যের ঘাটতির কারণে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক জন্ম বা মৃত্যুর নিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না।