ইতিহাসের জুলিয়াস সিজার বলেছিলেন “ভিনি, ভিডি, ভিসি—এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। ঠিক বিনোদন জগতের এমন এক নক্ষত্রের নাম চিত্র নায়ক সিয়াম আহমেদ। ঢালিউডে এ সময়ের আলোচিত নায়ক সিয়াম আহমেদ। তিনি বিনোদন জগতে এলেন, দেখলেন আর দর্শক প্রিয়তা জয় করলেন।
চিত্রনায়ক হিসেবে দর্শক সিয়াম আহমেদকে চিনলেও এর বাইরে তার আরও একটি পরিচয় আছে আর সেটা হলো তিনি একজন ব্যারিস্টার, যে বিষয়টি অনেকেরই অজানা। মি. সিয়াম ২০১৬ সালে ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করেন। যুক্তরাজ্যে নর্থাম্ব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রির জন্য সেখানেই লেখাপড়া করেন এবং ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করেন।
সফলতা পেতে হলে পরিশ্রম আর অধ্যবসায় এর বিকল্প নেই। সফলতার কোন শর্টকাট রাস্তা নেই। জানা যায়, ব্যারিস্টার হওয়ার জন্য সিয়াম আহমেদ দিন-রাত ১২ ঘণ্টা করে পড়ালেখা করেছেন। তার জন্য ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করার সময়টা ছিল যথেষ্ট স্ট্রাগলিং। নিজের আয়ের টাকা দিয়েই ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করেন দেশের জনপ্রিয় এই নায়ক।
ব্যারিস্টারি পড়াশোনার শুরুটা কঠিন হলেও শেষ বলে কিন্তু চার ছক্কায়ই মেরেছেন। নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ ব্যাচে তো প্রথম হয়েছেনই, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত পড়তে যাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছিলেন এই অভিনেতা।
প্রায় এক যুগ ধরে টেলিভিশনে নাটক, বিজ্ঞাপন, উপস্থাপনা করছেন সিয়াম আহমেদ। রবির জন্য একটি বিজ্ঞাপনে মডেলিংয়ের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় তার কর্মজীবন শুরু হয়। জনপ্রিয় নির্মাতা রেদওয়ান রনির পরিচালয়ায় ‘ভালবাসা ১০১’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন সিয়াম আহমেদ। এর পরে তিনি একাধিক টিভি নাটকে অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছে: ঝড়ের পরে, শিহরণের গান, তোমার আমার প্রেম, টু লেট ব্যাচেলর, মিস্টার বয়েড ফ্রেন্ড ইত্যাদি।
২০১৭ সালে পোড়ামন ২ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছরের অপরাধ-নাট্যধর্মী দহন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। পরের বছর ভাষা আন্দোলন নিয়ে নির্মিত ফাগুন হাওয়ায় চলচ্চিত্রের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০২০ সালে প্রণয়-নাট্যধর্মী বিশ্বসুন্দরী চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০২১ সালের মৃধা বনাম মৃধা চলচ্চিত্রের জন্য তিনি তার তৃতীয় মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন।
লিখেছেন: জি. এম-আদল