বন্যাকবলিত সিলেটে ‘১০ কিলোমিটার যেতে নৌকার ভাড়া ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা’ দাবি করা নিয়ে নজরদারি ও সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় ও পানিবন্দি মানুষকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (১৮ জুন) এ বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘এক বিবৃতিতে কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, এত বিপর্যয়ের মাঝে সবাইকে মানবিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে নৌকার কিছু অসাধু মালিক ও মাঝিরা ভাড়া ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা চাচ্ছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয় যে, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি থেকে সিলেট শহরে নিয়ে আসতে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হন মারুফ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হলেও নৌকার মাঝি রাজি হননি। অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৫ টাকার মোমবাতি ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে মর্মে জানা যায়।’
নাছিমা বেগম আরও বলেন, ‘ভয়াবহ বন্যায় সবাই মানবিক আচরণ করবেন, এটাই কাম্য। এ ধরনের অমানবিকতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এটি অন্যায়। এক্ষেত্রে সার্বিক নজরদারি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিলেট জেলা প্রশাসনকে পত্র দেওয়া হয়েছে।’
‘পাশাপাশি এসব কার্যক্রমে নারী, শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ, প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার এবং আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও নারীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দেওয়া হয়েছে’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
এছাড়া তিনি সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রামসহ বন্যাকবলিত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ আরও কার্যকর ও দ্রুত বাস্তবায়নের পাশাপাশি এসব কার্যক্রমের মূলে মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।