বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. শওকত হোসেনকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৮০’ এর ধারা-৫ অনুযায়ী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক ত্যাগের শর্তে তিনি এই নিয়োগ পেয়েছেন। যোগদানের তারিখ থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
এর আগে ২০২০ সালের মার্চে প্রথম মেয়াদে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনকে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির যে বেঞ্চ রায় দিয়েছিলেন, সেই বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন মো. শওকত হোসেন। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি অবসরে যান বিচারপতি শওকত হোসেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি বা বিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, অপসারণ ও অব্যাহতি, পেনশন বা বিভাগীয় মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলার বিচার হয় দেশের মোট সাতটি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে। এর মধ্যে ঢাকায় (১, ২ ও ৩) তিনটি, অন্য চারটি চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও বরিশালে।
তবে এসব ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির জন্য রয়েছে একমাত্র প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল। পিওন থেকে সচিব পর্যন্ত সরকারি যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের চাকরি নিয়ে প্রশাসনিক কোনো সংকটে পড়লে এই ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন।
সংবিধানের ১১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আইনের ৫ ধারা অনুসারে একজন চেয়ারম্যান এবং দু’জন সদস্যসহ তিন সদস্যের সমন্বয়ে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে।
চেয়ারম্যান হবেন এমন ব্যক্তি, যিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বা বিচারক হওয়ার যোগ্য। সদস্যদের একজন হবেন জেলা ও দায়রা জজ এবং আরেকজন প্রজাতন্ত্রে কর্মরত এমন এক কর্মকর্তা, যার পদমর্যাদা যুগ্মসচিবের নিচে নয়।