বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১৪তম নিবন্ধনধারী ৪৮৩ জনকে বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করতে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বুধবার (২৯ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এনটিআরসির চেয়ারম্যান ও শিক্ষাসচিবকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম মনিরুজ্জামান আসাদ ও অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন।
পরে অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন জানান, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ অর্জনের দীর্ঘদিন পরও তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়নি। পরে নিবন্ধনধারীদের মধ্যে ৪৮৩ জন সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে তিনটি রিট দায়ের করেন। এসব রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাদের নিয়োগে সুপারিশের জন্য নির্দেশনা দিয়ে এই রায় দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুন এনটিআরসিএর ১৪তম নিবন্ধনধারীদের (৪৮৩ জনকে) নিয়োগ দিতে কেন সুপারিশ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে (৬ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে ১৪তম নিবন্ধনধারী মো. জাকির হোসেনসহ ১৮০ জন এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানসহ মোট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
জানা যায়, এনটিআরসিএর ১৩তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হন ১৭ হাজার ২৫৪ জন চাকরিপ্রার্থী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২০৭ জনকে নিয়োগ দিতে আপিল বিভাগের আদেশ বাস্তবায়ন করে এনটিআরসিএ। সেই রায়ের আলোকে নিয়োগ পেতে সারাদেশের ১৪তম নিবন্ধনধারী একটিতে ১৮০ জন ও অপরটিতে ২০২ জন এবং ২০১জন প্রার্থী আরও একটি রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেছিলেন। ওই রিটে ও রুলের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।