জেলা পর্যায়ের সকল বিচারকদের পারিবারিক কলহের মামলা বিচারের সুযোগ রেখে ‘পারিবারিক আদালত আইন-২০২২’ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসঙ্গে নতুন এই আইনে বাড়ানো হয়েছে মামলা দায়ের করার ফি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ রোববার (৩ জুলাই) অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের উপস্থাপন করা এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আগের আইনটি সামরিক শাসনামলের। ১৯৮৫ সালে একটি ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স হয়, সেই অর্ডিন্যান্সে পারিবারিক বিষয়গুলো দাম্পত্য কলহ, তালাক, ম্যারিজ রেস্টোরেশন, শিশুদের ভরণপোষণ- এ বিষয়গুলো ছিলো। এর আগে এ বিষয়গুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৪(৮৮)-তে বিবেচ্য হতো। হাইকোর্টের বিধি-বিধান অনুযায়ী এটিকে (সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত করতে হবে, তাই এ আইনের খসড়াটি নিয়ে আসা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল মোটামুটি সেটাই আছে। এখানে ৩১টি ধারা আছে। বিবাহবিচ্ছেদ, দম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ আদালত বিবেচনায় নেবে।’
‘একটাই মূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা হলো- আগে ছিল যে আদালতে রায় হবে সেটার আপিল কর্তৃপক্ষ ছিলেন জেলা জজ। এখান সংশোধন এনে বলা হচ্ছে, জেলাপর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। শুধু জেলা জজ বললে ওনার ওপর একটু বেশি চাপ পড়ে যায়। সরকার যদি মনে করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজপর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরকেও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘আবার মামলার ক্ষেত্রে ফি যেটা ৫০ টাকা ছিল, সেটাকে ২০০ টাকা করা হয়েছে। কারণ ১৯৮৫ সালে কোর্টে মামলা করলে ৫০ টাকা দিতে হতো। যদিও বাড়িয়ে এখন যেটা করা হয়েছে, সেটাও অনেক কম। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটু অসহায় মেয়েরা এসে মামলা দায়ের করে সেটা বিবেচনা করে ফি বাড়ানো হয়নি।’