বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রচারের দায়ে অ্যাডভোকেট সাইফুর রেজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ প্রেরণ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী বলেন, সম্প্রতি বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুর রেজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। যা সুস্পষ্টভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্টের উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ও বটে।
এজন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
নোটিশে বলা হয়, গত ১৪ জুন ব্যারিস্টার ফাহিম হোসাইন এর একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করে। যাতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর ১১ জন স্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত ফেইসবুক স্ট্যাটাসে সাইফুর রেজা (Saifur Reza) নামক আইডি থেকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তাঁর এই কটূক্তি দ্বারা তিনি আমার সহ সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের অনুভূতিতে চরমভাব আঘাত করেছেন।
তাছাড়া সাইফুর রেজা এমন বক্তব্য দ্বারা তিনি হীন উদ্দেশ্যে সোস্যাল মিডিয়ায়/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছেন। অনেকেই উক্ত বক্তব্যের বিভিন্ন রকম সমালোচনা করেছেন। সাইফুর রেজা আমার এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করার জন্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্টের উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে এমন মন্তব্য করেছেন। যা সোস্যাল মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সুস্পষ্টভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত।
এর মাধ্যমে সাইফুর রেজা ডিজিটাল নিরাপও আইন-২০১৮এর ২৮(১), ২৮(২) ধারা দন্ডবিধি ২৯৫-এ ধারার অপরাধ সংঘটিত করেছেন। এছাড়া এমন মন্তব্যের ফলে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নের সমূহ সম্ভবনা রয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এপ্রেক্ষিতে নোটিশে বর্ণিত অভিযাগ বিবেচনায় জাতীয় নিরাপওার স্বার্থে, বিশ্ব নবীকে নিয়ে কূরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রদানকারী অ্যাডভোকেট সাইফুর রেজাকে রাষ্ট্র কর্তৃক মামলা দায়ের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় যথাযথ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে বলা হয়।