ভাষা সৈনিক, প্রখ্যাত আইনজীবী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আনসার আলীর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে ঢাকার বনানীতে কবরস্থান প্রাঙ্গণে এবং নওগাঁয় তার গ্রামের বাড়িতে দোয়া মাহফিল, কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ আনসার আলী ১৯৬২ সালে ঢাকা হাইকোর্টে এবং ১৯৬৮ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় নেতৃত্ব দেন।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মোহাম্মদ আনসার আলী ২০০১ সালে মরণোত্তর ‘মাতৃভাষা পদক’ পান। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামেও তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি, তৎকালীন রংপুর হাইকোর্ট বারের দুবার নির্বাচিত সভাপতি এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সোসাইটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
বহু রায়ের মধ্যে বিচারপতি হিসেবে তার দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও প্রতিভার স্বাক্ষর মেলে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সারাজীবন কাজ করে গেছেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ আনসার আলীর বড় সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ রফি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন ও কনিষ্ঠ পুত্র বিচারপতি আহমেদ সোহেল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।