জাল টাকা তৈরির অভিযোগে এবার গ্রেপ্তার হলেন আবু বকর সিদ্দিক রিয়াজ নামে এক আইনজীবী সহকারী। জাল টাকা তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামির জামিনের কাজ করছিলেন তাঁর আইনজীবী। সেই সূত্রে আসামিদের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয় আইনজীবীর ওই সহকারীর। একপর্যায়ে নিজেই এ কারবারে নেমে পড়েন তিনি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের একটি বাড়িতে জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সেখানে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ সময় সেখান থেকে আইনজীবীর সহকারী আবু বকর সিদ্দিক রিয়াজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন রফিকুল ইসলাম ওরফে সাকির, মনির হোসেন ও বিউটি আক্তার।
ডিবি গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, অভিযানের সময় ওই বাসা থেকে ৫০ লাখ জাল টাকার নোট ও জাল টাকা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার বিউটি আক্তারের স্বামী আবুল কালাম জাল টাকার পুরোনো কারবারি। এর আগে তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটেন। কারাগারে অন্য মামলায় আটক সাকিরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তখন সাকিরকে জাল টাকা তৈরি ও ব্যবসার প্রস্তাব দেন আবুল কালাম। আর আবু বকর সিদ্দিক ওরফে রিয়াজ জাল টাকার মামলায় জামিন করাতে গিয়ে আসামিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। আবু বকর একপর্যায়ে নিজেও জাল টাকা তৈরিতে নেমে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, জাল নোট তৈরির চক্রটি নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরি করে আসছিল।