চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতাসহ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের রাউজান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭।
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আজিম হুসেন, মাসুদ, বাবু ও শাওন।
র্যাব কর্মকর্তা এম এ ইউসুফ জানান, আজিমকে গ্রেফতারের পর এ ঘটনায় জড়িত আরো পাঁচজনের তথ্য পাওয়া গেছে। আজিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য দুজন এখনো পলাতক রয়েছে। তবে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় ব্যবহৃত আলামত হিসেবে ২টি মোটরসাইকেল ও ৩টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২টি মোবাইল ভিকটিম ও তাঁর বন্ধুর এবং বাকি মোবাইলটি আজিমের।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে শ্লীলতাহানী করে ও অশ্লিল ভিডিও ধারণ করে। আসামীদের একজন হুমকি প্রদান করে বলে যে, তার সাহিত শারিরীক সম্পর্ক না করলে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দিবে।
গত ১৭ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল সংলগ্ন এলাকায় ৫ জন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলাও করেছেন ওই শিক্ষার্থী। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় এ মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে যৌন নিপীড়নের এ ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা আন্দোলনে নামেন। বুধবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন হলের ছাত্রীরা।
রাত ৯টা থেকে প্রথমে বিভিন্ন হলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে রাত ১টা পর্যন্ত দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।