জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে গ্রাম আদালত সংশোধন আইন-২০২২ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। আগে গ্রাম আদালতে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। সংশোধিত আইনে তা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সোমবার (২৫ জুলাই) এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন তিনি।
বৈঠক শেষে পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে জানান, গ্রাম আদালত সংশোধন আইন-২০২২ এ জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগে গ্রাম আদালতে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।
সর্বশেষ গ্রাম আদালত আইন, ২০১২ (সংশোধনী) প্রস্তাবের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ ছাড়া আদালতে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়।
গ্রাম আদালত হলো গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় গঠিত আদালত। গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ২৫ হাজার টাকা মূল্যমানের দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে এ আদালত বসে।
গ্রাম আদালতে বিচারযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে বিবাদের যে কোনো পক্ষ বিচার চেয়ে গ্রাম আদালত গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ৪ টাকা (দেওয়ানি মামলা হলে) অথবা ২ টাকা (ফৌজদারি মামলা হলে) ফি দিয়ে আবেদন করতে পারেন।
গ্রাম আদালতের এখতিয়ারসম্পন্ন মামলা অন্য কোনো আদালত গ্রহণ করতে পারে না। গ্রাম আদালতে মামলা করলে কোনো আইনজীবী লাগে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গণ্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এ আদালত বসে।
এই আদালতের বিচারক সংখ্যা ৫ জন। দুই জন মনোনীত সদস্য থাকবেন আবেদনকারীর পক্ষে এবং দুই জন সদস্য হবেন প্রতিবাদীর পক্ষে। যার মধ্যে একজনকে অবশ্যই হতে হবে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এই বিচার অনুষ্ঠিত হয়।